হতে চাই ক্ষুদে গবেষক
  • পর্ব- ০ঃ [ অ-আ-ক-খ ]
  • পর্ব- ১ঃ গবেষণা কি এবং যে কারনে গবেষণা করবেন
  • পর্ব- ২ঃ গবেষনা শুরু করতে যা যা প্রয়োজন
  • পর্ব- ৩ঃ দেখে নেই সচরাচর গবেষণার ফিল্ডসমূহ
    • ৩.১ঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI)
      • - মেশিন লার্ণিং (ML)
      • - ডিপ লার্নিং (DL)
      • - কম্পিউটার ভিশন (CV)
      • - ডেটা মাইনিং (DM)
      • টুলস অ্যান্ড টেকনিকস
    • ৩.২ঃ এনএলপি (Natural Language Processing)
    • ৩.৩ঃ আইওটি (Internet of Things)
    • ৩.৪ঃ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক
  • পর্ব- ৪ঃ চলুন গবেষণার টপিক নির্বাচন করি
  • পর্ব- ৫ঃ গবেষনার শুরুটা যেভাবে হওয়া উচিৎ
  • পর্ব- ৬ঃ অন্যের পেপার পড়া এবং তার ড্রাফট রাইটিং
  • পর্ব- ৭ঃ চলুন শুরু করি পেপার লেখার কাজ
  • পর্ব- ৮ঃ পেপারের কমন সেকশনসমূহ সম্পর্কে জেনে নেই
  • পর্ব- ৯ঃ থিসিস পেপার যেভাবে পাবলিশ করবেন
  • পর্ব- ১০ঃ শুরুর শেষ
  • সাপোর্ট
Powered by GitBook
On this page
  • - গবেষনা বলতে কি বুঝায়?
  • - কেন করবো এই গবেষণা?

Was this helpful?

পর্ব- ১ঃ গবেষণা কি এবং যে কারনে গবেষণা করবেন

Previousপর্ব- ০ঃ [ অ-আ-ক-খ ]Nextপর্ব- ২ঃ গবেষনা শুরু করতে যা যা প্রয়োজন

Last updated 6 years ago

Was this helpful?

- গবেষনা বলতে কি বুঝায়?

গবেষণা বলতে আসলে এক কথায় বুঝায়, নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশায় সেটার নাড়িনক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা। আমি এখানে কম্পিউটার সায়েন্সের গবেষনার ফিল্ডগুলো নিয়ে আলোচনা করছি। এছাড়া প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই তাদের নিজস্ব গবেষনার ফিল্ড রয়েছে যেখানে সেই সেক্টরের উন্নতি এবং নতুন কিছু উদ্ভাবনা নিয়ে কাজ করা হয়। আর এটাই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।

আপনারা যারা গ্রাজুয়েট বা আন্ডার-গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে আছেন, তাদের একাডেমিক ভাষায় গবেষণাকে অন্য শব্দেও চিনে থাকতে পারেন, যেমন- থিসিস, থিসিস বেজড প্রোজেক্ট, পেপার করা, পাবলিকেশন পাবলিশ করা বা জার্নাল আর্টিকেল। এই সবগুলোর মূল কাজই আসলে গবেষণা করা এবং একটি অর্গানাইজড উপায়ে নানান মানুষের কাছে উপস্থাপনা করা।

- কেন করবো এই গবেষণা?

কিছুদিন আগে ফেসবুক নিউজফিডে একটা লিংক অনেকেই শেয়ার করেছিল দেখেছিলাম। লিংকটিতে ছিল একটি পরিসংখ্যান মোতাবেগ গবেষনা খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং পিছিয়ে থাকার গল্প। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য- চীন, জাপান, জার্মান, রাশিয়া এবং আমেরিকার মত উন্নত দেশগুলো রয়েছে গবেষনা কাজের ক্ষেত্রে প্রথম দিকের সারিতে এবং বাংলাদেশের অবস্থান একদম শেষের দিকে।

আমার জানামতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পরেই ইউএসএ'তে প্রায় ১.৩ ট্রিলিওন ডলার ঘোষণা করেন শুধুমাত্র গবেষনা খাতের জন্য। আসলে দেশ ও জাতির উন্নয়নে এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে নতুন উদ্ভাবনি তথা গবেষনার অনুরূপ কোনো বিকল্প নাই। সেটা উন্নত দেশগুলোর উন্নয়নের চাবিকাঠি পর্যবেক্ষণ করলে এবং অনুন্নত দেশগুলোর পিছিয়ে পরার গল্প শুনলেই বুঝা যায়।

এছাড়া দেশ ও জাতির উন্নয়নের কথা চিন্তা না করলেও বিদেশে উচ্চশিক্ষা, একাডেমিয়ায় জব এবং পদোন্নতি, কোনো সেক্টরের কোর-কনসেপ্ট সম্পর্কে জানতে গবেষনা করাটা খুবই জরুরী একটা অবলম্বন।

যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের নামের পেছনে একটা পাবলিকেশনের অথরশিপ থাকলে স্বপ্ন পূরণ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। আমি বিভিন্ন গ্রুপে উচ্চশিক্ষার জন্য যারা বিদেশ যেতে চান তাদের প্রোফাইল পর্যবেক্ষন করে খেয়াল করেছি, বাংলাদেশ থেকে যারা আমেরিকা, কনাডা বা উন্নত দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে চাচ্ছেন, তাদের ৯৫% মানুষেরই কোনো ইন্টারন্যাশনাল মানের পাবলিকেশন নাই।

এর মানে গবেষনা করে একটি ইন্টারন্যাশনাল মানের পাবলিকেশন যদি আপনার লেখা হয়ে থাকে, তাহলে বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি ১০০ জনে মধ্যে ৯৫ জনের চেয়ে এগিয়ে আছেন। কেননা উন্নত দেশগুলোতে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে গবেষনা কাজ এবং গবেষনাপত্রের ভেলু অপরিসীম।