পর্ব- ৫ঃ গবেষনার শুরুটা যেভাবে হওয়া উচিৎ
Last updated
Last updated
গবেষনার শুরু বলতেই আসলে বুঝায় অনেক অনেক গবেষনাপত্র (থিসিস পেপার) পড়া এবং সেগুলো থেকে জ্ঞান নেয়া, অন্যের কাজ এবং ঐ ফিল্ডের অগ্রগতি সম্পর্কে জানা।
ধরুন আমি বাংলা ভাষার জন্য একটি টেক্সট সামারাইজার বানিয়ে ফেলেছি, এবং আপনি রিসার্স কমিউনিটিগুলোতে তেমন খোজখবর রাখেন না এবং রিসেন্ট গবেষনাপত্র তেমন ঘাটাঘাটি করেন না। ফলে আপনিও আলাদাভাবে ঐ একই টেক্সট সামারাইজার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাহলে কি হল? একই সমস্যা সলভ করতে দুজনের কষ্ট করতে হচ্ছে, এবং আপনার গবেষনা সেখানে প্রায় অর্থহীন হয়ে যাবে।
তাই আপনি যে ফিল্ডে কাজ করছেন বা কাজ করতে আগ্রহী, সেই ফিল্ড এবং টপিকগুলো সার্স দিয়ে, রিলেটেড গবেষনাপত্র নামিয়ে আপনাকে সেগুলো নিয়ে বিস্তর ঘাটাঘাটি করতে হবে। চাইলে অন্যের কাজই হুবহু আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন, সেটা করতে পারছেন কিনা। এরপর সেটা নিয়ে গবেষণা শুরু করুন এবং আপনার নিজের জন্য ঐ কাজেরই ফিউচার ওয়ার্ক নিয়ে কাজ করতে পারেন।
এছাড়া অন্যের গবেষণাপত্র থেকে আপনি নতুন কিছু শিখতেও পারবেন। কোনোকিছু না বুঝলে বা কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে, পেপারের অথর সেকশন থেকে মেইল অ্যাড্রেস নিয়ে একজন অথরকে তাকে মেইলও করে ফেলতে পারেন। পেপারের অথর সেই ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে আপনাকে সাহায্য করতে।
এটা আসলে খুবই যৌক্তিক একটি প্রশ্ন। আমরা কম্পিউটার সায়েন্সের প্রায় সকল গবেষণাপত্র যেসকল ওয়েবসাইট বা পোর্টালে পেতে পারি সেগুলো হল-
গুগল স্কলারেই মোটামুটি সব ধরনের পেপার পাওয়া যাবে আশা করা যায়। এই সাইটগুতে গিয়ে সার্স দিয়ে খুব সহজেই পেপারগুলোর এবস্ট্রাক্ট দেখে নেয়া যায়, কিন্তু অনেক সময়ই এগুলো ফ্রিতে পুরো পেপার ডাউনলোড করার অনুমতি দেয়না না।
কিন্তু পুরো পেপার ডাউনলোড করারও উপায় রয়েছে, সেগুলো উপায় পাইরেসি রিলেটেড হওয়ায় এখানে না লেখাটাই উত্তম মনে করছি। তবে কেউ আমার সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ করলে তাকে বিস্তারিত জানিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ।
মনে করি আপনি এনএলপির ফিল্ডে কাজ করতে আগ্রহী হয়েছেন এবং সেখান থেকে সাব-ফিল্ডগুলো দেখে সেন্টিমেন্ট এনালাইজ নিয়ে কাজ করবেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তাহলে আপনার জন্য উপদেশ- Sentiment analysis, Sentiment analysis in Bangla এরকম কিছু কী-ওয়ার্ড লিখে গুগল স্কলারে সার্স করুন এবং কোনো পেপারের এবস্ট্রাক্ট পড়ে পছন্দ হলে সেটির পুরো পেপারটি নামিয়ে নিন।
আমি রিকমেন্ড করবো রিসেন্ট কিছু পেপার (যেমন- ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮) এবং মোটামুটি কিছুদিন আগের কিছু পেপার (যেমন- ২০০৫ বা ২০০৭) খুজে পছন্দমত নামানো। মোটামুটি কোনো টপিকের উপর রিসেন্ট পেপার ৫ টি এবং আগের পেপার ২ টি, এভাবে হিসাব করে নামাতে পারেন। তাহলে এই টপিকের কাজের অগ্রগতি এবং যুগোপযুগী সলিউশন সম্পর্কে জানতে পারবেন।